ভোলায় ট্রলার ডুবিতে নিহত নয় জেলের লাশ হস্তান্তর, নিখোঁজ ৪

ভোলায় ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিখোঁজ নয় জেলের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ঘটনায় এখনও এক জেলেসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2019, 06:42 AM
Updated : 12 Nov 2019, 07:08 AM

ভোলা-বরিশাল সীমান্তবর্তী মেহেন্দীগঞ্জের রুকুন্দী এলাকা থেকে সোমবার রাত ৮টার দিকে ট্রলার থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পেটি অফিসার মো. সোহেল রানা জানান।

ভোলা-বরিশাল সীমান্তবর্তী মেহেন্দীগঞ্জের রুকুন্দী এলাকা থেকে সোমবার রাত ৮টার দিকে লাশগুলো উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি আবিদুর রহমান জানান। 

মৃতরা হলেন- চরফ্যাশনের দুলারহাট থানার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর য়ার্ডের সোলাইমান মাতাব্বরের ছেলে মো. মফিজ মাতাব্বর (৩৫), এই এলাকার নুরুল হকের ছেলে কামাল দালাল (৪০), ওই থানার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ইসমাইল খানের ছেলে মো. বিল্লাল (৩৫), আহম্মদপুর এলাকার মোসলেহউদ্দিন মাঝির ছেলে হুমায়ুন কবির (৪০) ও নাইম পাটওয়ারীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), উত্তরশিবা এলাকার মজিবল হক মুন্সীর ছেলে আব্বাস মুন্সী (৪০) ও জামাল বিশ্বাসের ছেলে রফিক বিশ্বাস (৫৫), নুরাবাদ এলাকার কাদের মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (৩৮) ও কাদের বেপারীর ছেলে নুরনবী বেপারী (৩০)।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পেটি অফিসার মো. সোহেল রানা জানায়, এ নিয়ে ওই ট্রলারটিতে থাকা ২৪ জনের মধ্যে জীবিত অবস্থায় দশ জেলে এবং মৃত দশ জেলের লাশ উদ্ধার করা হলো; এখনও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। 

নিখোঁজদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের মো. নাসিম (৪৫)। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কোস্টগার্ড জানায়, গত ৩০ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষ হওয়ার পর চরফ্যাশনের আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের তোফায়েল মাঝির মাছ ধরার ট্রলার ২১ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। পরে তারা চাঁদপুরে মাছ বিক্রি শেষে রোববার সকালে আরও তিনজনকে নিয়ে চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

পথে দুপুরের দিকে ট্রলারটি মেঘনা নদীর ভোলা-বরিশাল সীমান্তবর্তী এলাকা মেহেন্দীগঞ্জের রুকুন্দী পয়েন্টে আসলে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

“খবর পেয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা গিয়ে ট্রলারের মাঝিসহ দশ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। পরে সন্ধ্যার দিকে মোরশেদ নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।”

কিন্তু ট্রলারে থাকা বাকী ১৩ জনের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি দল মেঘনা নদীতে অভিযান অব্যাহত রাখে। পরে ট্রলারের ভেতর থেকে নয় জেলের লাশ পাওয়া যায় বলে সোহেল রানা জানা ।