এই চুরিতে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন বেনাপোল শুল্ক ভবনের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী।
তারা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহাবুল সরকার, কাস্টমস সিপাহি পারভেজ আলম, পিয়ন আজিবর রহমান, মহব্বত আলি ও সুরত আলী।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানায় নিয়েছে সিআইডি।
ওই লকারে শুল্ক বিভাগ, শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখা স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা, কষ্টিপাথরসহ মূল্যবান দলিলপত্র ছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার কর্মকর্তারা ওই কক্ষে (লকার রুম) যান। তারা সেখানে হাত-পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেন।
যশোর ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক সৈয়দ মামুন হোসেন, র্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, বেনাপোল শুল্কভবনের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম, এআরও জিএম আশরাফ ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি মামুন খান এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
পুরাতন শুল্ক ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ‘গোপনীয় লকার’ । সেখানে সিসি ক্যামেরার তার কেটে এই চুরি হয় বলে জানান শুল্ক কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “কক্ষের সিসি ক্যামেরার তারের সংযোগ বিছিন্ন করে সরকারি কোষাগারের লকার খুলে চুরি করা হয়েছে। দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ১৯ কেজি ৩৮৫ গ্রাম স্বর্ণ কম পাওয়া গেছে। অন্যান্য বিষয় তদন্ত শেষে জানানো হবে।”