বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আসফাক আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ৫৩ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন শিক্ষক ও দুইজন কর্মচারী ৬ নভেম্বর ওই দ্বীপে শিক্ষা সফরে যান।
আসফাক বলেন, সেন্টমার্টিন সম্পর্কে আগে তাদের যে ধারণা ছিল সেখানে যাওয়ার পর তা পাল্টে গেছে।
আসফাক তার সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে রোববার সেখানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান বলে জানান।
তারা কয়েক বস্তা অবর্জনা সংগ্রহ করে মাটি চাপা দিয়েছেন বলেও জানান।
এছাড়া দ্বীপটিতে কুকুরের সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে গেছে তিনি মনে করেন।
“এ দ্বীপে কয়েকশ কুকুর রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার হাবিব উল্লাহ। হাবিব বলেছেন, গত দুই বছরে ১৫-১৬ জন পর্যটককে কুকুর কামড়ে দিয়েছে। শীতকালে কাছিম যখন উপকূলে ডিম পাড়তে আসে তখন কুকুর কাছিম মেরে ফেলে; তাদের ডিম খেয়ে ফেলে।”
কাছিম ক্ষতিকর পোকা খেয়ে সমূদ্রের মাছকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে বলে জানান অধ্যাপক আসফাক আহমদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দলটির শুক্রবার ফেরার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তাদের আটকে দেয়। তারা ফেরেন সোমবার।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ জানান, এ দ্বীপে ছোট বড় কয়েকশ কুকুর রয়েছে। গত দুই বছরে ১৫/১৬ জন পর্যটককে কুকুর কামড়ে দিয়েছে।
“সমূদ্রে বসবাসকারী কাছিম শীতকালে উপকূলে সেন্টমার্টিনের বালির নিচে গিয়ে ডিম পাড়ে। এ সময় ওইসব কুকুর কাছিমকে মেরে ফেলে এবং বালি সরিয়ে ডিমও খেয়ে ফেলে।”
তিনি জানান, কুকুরের তাড়া খেয়ে অনেক পর্যটক সমূদ্রের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েও আত্মরক্ষা করেন। কুকুরের এ উপদ্রপ নিয়ে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে কথা বললেও কোনো সুরাহা হয়নি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে কুকুরের উপদ্রপের তথ্য ঠিক। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কুকুর নিধন করা সম্ভব নয়। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় তা নিয়ন্ত্রণের চিন্তা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আর সেন্টমার্টিনে নামার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সর্বদা পর্যটকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। তারপরও তারা তা মানছেন না। তবে শিঘ্রই সেখানে একটি পরিচ্ছন্নতা কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
তিনি এ ব্যাপারে এখানে আসা সবাইকে সচেতন হতে অনুরোধ জানিয়েছেন।