হাইমচর উপজেলায় দুই দিন যাবত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় বসতঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রোববার বিকালে চাঁদপুরের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়।
সরেজমিনে সোমবার সকালে হাইমচর উপজেলার ছোট লক্ষ্মীপুর, মহজমপুর, তেলিরমোড়, থানা রোড, আলগী উত্তরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে বসতঘরের উপর আছড়ে পড়া গাছ সরাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা গাছপালা কেটে সরানো হচ্ছে। এছাড়া যেসব বিভিন্ন স্থানে ছিঁড়ে পড়া বৈদ্যুতিক তার সারানো হচ্ছে।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, রোববার বিকালে চাঁদপুরের উপর বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। প্রচণ্ড বাতাসে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে অন্তত দুই শতাধিক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বসতঘরের চালা ও বেড়া উড়ে গেছে।
তিনি বলেন, যেসব স্থানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ পড়েছে, সেসব জায়গায় রোববার থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা গাছপালা সরানোর পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
তিনি জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ইতিমধ্যে শুকনো খাবার বিতরণসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া যাদের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করে সহযোগিতা করা হবে।
হাইমচর উপজেলার ছোট লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা খাদিজা বেগম বলেন, রোববার বিকালে প্রচণ্ড ঝড়ে একটি বড় গাছ কাত হয়ে তাদের বসতঘরের উপর পড়ে। এতে ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একই উপজেলার মহজমপুর এলাকার বাসিন্দা দুদু মিয়া বলেন, “ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে ও বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে আমার বসতঘরের উপর পড়েছে। এতে আমার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত দুই দিন যাবত আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।”
চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, ঝড়ে তার এলাকার বেশকিছু বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে সহযোগিতা করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর কারণে গত দুই দিন যাবত বন্ধ থাকার পর সোমবার ভোর থেকে চাঁদপুর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে মেঘনা নদীতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।