গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের হাতে ১২ জনকে সোপর্দ করেছে। এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. রনি খান, আইন বিভাগের মানিক মজুমদার, অমিত গাইন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. নেয়ামুল ইসলাম, মো. নয়ন খান, মমিনুল হক এবং মো. মুরছালিন হক।
গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থীরা হলেন-শেরপুর জেলার মো. সোলাইমান, মাহফুজ আজাদ কাউসার, বরিশালের তরিকুল ইসলাম সৈকত, সাগর আহমেদ এবং চুয়াডাঙ্গার আবির হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানান, 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার আগে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট জব্দ করে তিন লাখ টাকার চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার পরিকল্পনা করেছিল একটি চক্র।
“বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজয় দিবস হলের ৫১২ নম্বর কক্ষে অভিযান চালায়। এ সময় কক্ষটি থেকে প্রশ্নফাঁস চক্রের তিন সদস্য এবং পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
“পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই চক্রের আরো চার সদস্যকে আটক করা হয়।”
অনিয়মের দায়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ চক্রের সদস্যরা প্রতারণা করার জন্য এগুলো করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার বলেন, এ চক্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম এসেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষী যেই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য একটি চক্র নানাভাবে কৌশল অবলম্বন করছে।
তবে অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।