বাসের পর ট্রাকের ধাক্কা, মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩

কুমিল্লার চান্দিনায় বাসের ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা একটি মাইক্রেবাস ট্রাকের ধাক্কায় উল্টে যাবার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এক শিশুসহ তিন আরোহী পুড়ে মারা গেছে; এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2019, 04:17 AM
Updated : 10 Nov 2019, 04:41 AM

রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার এসআই জসিম উদ্দিন জানান।

নিহতদের মধ্যে শিশশু সাত বছরের শিশু রবজার পরিচয় পাওয়া গেছে। সে কুমিল্লার অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে। বাকি দুইজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

তবে তাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- নিহত শিশু রবজার মা হালিমা বেগম (৪৫), কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৮), সজিব (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ও বলরামপুর এলাকার মজনু মিয়া (৫০)। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দিন বলেন, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় যাত্রী উঠানোর জন্য থামে। এ সময় পেছন থেকে একটি বাস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়।

“এ সময় মাইক্রোবাসটি রাস্তার উপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আমরা কয়েকজনকে উদ্ধার করি এবং ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি। “

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বশির ভূইয়া বলেন, “মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি করে লোকাল যাত্রী যাতায়াত করে। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে আমরা জানতে পারেছি।”

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি বলেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে এক শিশুসহ তিনজনের লাশ এবং আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

এর আগে স্থানীয়রা আরও দুইজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে ।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, দঘর্গটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে; তাদের মধ্যে হালিমার ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেমের ৩৫ এবং জসিম উদ্দিনের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে এসআই জসিম জানান।