ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৩৭ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এছাড়া ৪০টি চরের বাসিন্দাদেরও আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
“আমরা জেলার সাত উপজেলার দুর্গম চরের আড়াই লাখ মানুষকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি; তাদের সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও নদীর উপকূলবর্তী এলাকার লোকজনকেও আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।”
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, সিপিপির ৬৮০টি ইউনিটে তিনটি করে সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিটের আওতায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের বসবাস। উপকূলজুড়ে সাধারণ জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য হ্যান্ড সাইরেন ও মেগা ফোনের মাধ্যমে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদের মাইকেও প্রচার চালানো হচ্ছে। গত রাত থেকেই মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।
সদর উপজেলার ইলিশা মৌলভীরহাট আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা কবিতা, মাজেদ ও শান্তনাসহ অনেকেই জানান, সতর্কতা সংকেত পাওয়ার পর তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।