ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: ভোলায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত থেকে বাঁচাতে ভোলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তিন লক্ষাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 05:27 PM
Updated : 9 Nov 2019, 05:27 PM

ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন। 

জেলা প্রশাসক বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৩৭ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এছাড়া ৪০টি চরের বাসিন্দাদেরও আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

“আমরা জেলার সাত উপজেলার দুর্গম চরের আড়াই লাখ মানুষকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি; তাদের সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও নদীর উপকূলবর্তী এলাকার লোকজনকেও আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।”

মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, জেলার ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ৪৬ হাজার ২৬০, দৌলতখানে ৩৫ হাজার ৪২০, বোরহানউদ্দিনে ৩৩ হাজার ৩২০, লালমোহনে ৪৮ হাজার ৩৯০, তজুমদ্দিনে ৫৪ হাজার ২১৫, চরফ্যাশনে ৬৫ হাজার ৩১০ এবং মনপুরা উপজেলায় ৪০ হাজার ৭৩২ জন।

জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, সিপিপির ৬৮০টি ইউনিটে তিনটি করে সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিটের আওতায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের বসবাস। উপকূলজুড়ে সাধারণ জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য হ্যান্ড সাইরেন ও মেগা ফোনের মাধ্যমে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদের মাইকেও প্রচার চালানো হচ্ছে। গত রাত থেকেই মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।

উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের কোথাও কোথাও শুকনো খাবার কোথাওবা খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সদর উপজেলার ইলিশা মৌলভীরহাট আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা কবিতা, মাজেদ ও শান্তনাসহ অনেকেই জানান, সতর্কতা সংকেত পাওয়ার পর তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।