বুলবুল: পটুয়াখালীর আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল থেকে নিরাপদে রাখতে পটুয়াখালীর সাড়ে চার লক্ষাধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 02:34 PM
Updated : 9 Nov 2019, 02:34 PM

জেলা প্রশাসন জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার ৬৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে দূর্গম এলাকার ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৭ জন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।

ঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে সারাদিন থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে দুই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে চর ও নিম্মাঞ্চল এলাকা।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় যৌথভাবে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, নৌ ও সেনাবাহিনী। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কাজ করছে ৬ হাজার ৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক।

“যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১০টি কন্ট্রোল রুম ও সিভিল সার্জনের গঠিত ৭৪টি মেডিকেল টিমসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন।”

কলাপাড়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস ৮৬ মিলিমিটার ও কলাপাড়া রাডার স্টেশন শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

পায়রা বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, বন্দরের ১৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার ৬৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে দূর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৭ জন মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছেন কলাপাড়া উপজেলায় ৯৫ হাজার ৭২৫ জন, বাউফলে ৯২ হাজার ২৫০ জন, সদর উপজেলায় ৮৫ হাজার ২৬২ জন, গলাচিপায় ৮৪ হাজার ৩২০ জন, দশমিনায় ২৫ হাজার ২৫০ জন, রাঙ্গাবালীতে ৩৪ হাজার ১৭০ জন, মির্জাগঞ্জে ২৬ হাজার ৭২৫ জন ও দুমকি উপজেলায় ১৬ হাজার ১৬৫ জন।

এছাড়াও জেলায় মোট ৯০ হাজার ৩৯৫টি গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।