শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের মাওলানা মোহাম্মদ উল্যা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনেরর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশায় রিসিল, সানাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পারিদর্শক মো. আব্দুল আলিম, সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ ও সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও আববারের আত্ময়ী স্বজনসহ স্থানীয় জনতা উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলিম জানান, বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হক লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
“সেই অনুযায়ী লাশ উত্তোলনের পরে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।”
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মজিবুর রহমানের ছেলে আবরার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন।
লাশ উত্তোলন ও পুনঃময়নাতদন্তের ব্যবস্থা হওয়ায় আবরারের স্বজন ও এলাকাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
আদালত আবরারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আবরারের মৃত্যুর পরপর দায়ের করা অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে তার বাবার নালিশি মামলাটি একসঙ্গে তদন্ত করতে বলেছে আদালত।
আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম।