ফিরতে পারেননি সেন্টমার্টিনের পর্যটকরা

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়া সহস্রাধিক পর্যটক ফিরতে পারেননি।

কক্সবাজার প্রতিনিধিগাজীপুর ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 09:41 AM
Updated : 11 Nov 2019, 01:02 PM

আটকা পড়া দলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীও রয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়া চলমান থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে কোনো যান চলাচল করেনি বলে শনিবারও পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা যায়নি।

আবহাওয়া বৈরী হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে ওই নৌপথে যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

তবে আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সহস্রাধিক পর্যটক ছাড়াও সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া আট শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দাও বাড়ি ফিরতে পারেনি। তবে তাদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আটকা পড়া পর্যটকরা নিরাপদে হোটেলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ।

তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উত্তাল সাগরে গোসল না করতে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হয়রানি না করতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৬০ জনের একটি দলও ওই দ্বীপে আটক পড়েছেন।

তাদের মধ্যে আছেন ওই বিভাগের অধ্যাপক আশফাক আহমেদ মুন্না।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ৫৩ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন শিক্ষক ও দুইজন কর্মচারী ৬ নভেম্বর ওই দ্বীপে শিক্ষা সফরে যান। ওই দিন আবহাওয়া ভাল ছিল। পরে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় তারা আটকা পড়েন।