তবে ফেরি চলাচলে এখনো ‘তেমন অসুবিধা হচ্ছে না’ বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম মিয়া বলেন, “ফেরি চলাচল এখনও স্বাভাবিক রয়েছে।
“পদ্মা নদী খুব একটা উত্তাল নয় তাই ফেরি চলছে। পরবর্তীতে বন্ধ রাখার নির্দেশ আসলে বন্ধ করা হবে।”
কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত লঞ্চ-স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পদ্মা নদী কিছুটা উত্তাল হয়ে ওঠায়
কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার বেলা ১২টার পর থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেতের আওতায় রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর থাকবে ৯ নম্বর বিপদ সঙ্কেতের আওতায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারিবর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।