‘তথ্য-উপাত্ত জমা দেবে’ জাবির আন্দোলনকারীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ তুলেছেন, সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2019, 06:39 PM
Updated : 7 Nov 2019, 06:48 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রনি। 

রনি বলেন, “আমাদের কাছে যেসব তথ্য-উপাত্ত আছে তা আমরা জমা দেব। এছাড়া আগামীকাল ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানানো হবে।”

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, “যদি দুর্নীতি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দুর্নীতি করলে যে শাস্তি, তাকে সেই সাজা পেতে হবে। এটা কিন্তু আইনে আছে। মিথ্যা অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে কিন্তু আইন ব্যবস্থা নেবে।”

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ক্যাম্পাসে। সন্ধ্যায় দুর্নীতিবিরোধী কনসার্ট শেষে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রনি বলেন, “আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে দাবিভিত্তিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত নয়। বরং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে দুর্নীতির যে কালিমা লেপন করা হয়েছে তারই বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা একটি নৈতিক আন্দোলন।

“উপাচার্য এবং তার প্রশাসনের একের পর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত ও দমননীতিই বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। সারাদেশেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের যে জিরো টলারেন্স অবস্থান, সে অবস্থান থেকেই এই অভিযোগের বিষয়টি আমলে নেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।”

রনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, হামলা-মামলা-হুমকি অগ্রাহ্য করে নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যকে অপসারণ এবং দুর্নীতিতে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলন চলবে।”

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল বেলা ১১টায় পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান, প্রতিবাদী পটচিত্র অঙ্কন ও পুরো ক্যাম্পাসে প্রদর্শনী করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন।