বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রনি।
রনি বলেন, “আমাদের কাছে যেসব তথ্য-উপাত্ত আছে তা আমরা জমা দেব। এছাড়া আগামীকাল ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানানো হবে।”
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রনি বলেন, “আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে দাবিভিত্তিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত নয়। বরং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে দুর্নীতির যে কালিমা লেপন করা হয়েছে তারই বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা একটি নৈতিক আন্দোলন।
রনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, হামলা-মামলা-হুমকি অগ্রাহ্য করে নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যকে অপসারণ এবং দুর্নীতিতে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলন চলবে।”