বুধবার সকালে পার্কটির উদ্বোধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসন এ পার্কের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেছে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় শিশুপার্কটি নবরূপে যাত্রা শুরু করল।
উদ্বোধনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামাল, পার্ক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ এ সময় বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় আমরা কাজটি শুরু করেছি। এখানে এখনও যেটুকু জয়গা বেদখল আছে সেগুলোও দখলমুক্ত করে আরও দৃষ্টিনন্দন করা হবে।”
পার্কের উন্নয়নে আরও এক কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, যেহেতু এটি শহরের একমাত্র শিশুপার্ক এটিকে আরও কীভাবে সুন্দর করা যায় সেজন্য উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
২০০৪ সালে তৎকালীন পৌর মেয়র এই শিশু পার্কের ভেতর কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-‘বেলা’র সহযোগিতায় হাই কোর্টে মামলা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশবাদী সংগঠন- গ্লোবাল ভিলেজ। পরে ২০১৪ সালে নির্মাণাধীন কমিউনিটি সেন্টারটি ভেঙে ফেলা হয়।
দীর্ঘদিন পর পার্কটির উদ্বোধন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।
পার্ক রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজের সভাপতি ও মামলার বাদী ফজলে এলাহী বলেছেন, “আজ রাঙামাটিবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। একটা লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন আজ। এই কৃতিত্ব পুরো রাঙামাটিবাসীর। আমরা শুধুই লড়েছিলাম, লেগে ছিলাম, বছরের পর বছর, এটাই হয়ত সাফল্য এনে দিল।”