যশোরের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক টিএম মুছা বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমিনুর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার গড়িমহল গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে। যশোর শহরের খড়কি দক্ষিণপাড়া রেললাইনের পাশে এহসানুল হক সেতুর বাগানবাড়ির তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকার সময় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এ বছর ১ মে।
আমিনুর রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
ওই আদালতের পিপি এম ইদ্রিস আলী মামলার নথির বরাতে বলেন, স্থানীয় মাওলানা শাহ আব্দুল করিম (রহ.) খড়কী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুছাত্রীরা যাওয়া-আসার পথে ওই বাগানবাড়িতে আম কুড়াতে যেত। সে সময় ওই বাড়ি তত্ত্বাবধায়ক আমিনুর তাদের আম, চকলেট দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
“গ্রেপ্তারের পর আমিনুর বিভিন্ন সময় পাঁচ-ছয়জন শিশুছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। আর ছয় শিশু যশোরের মুখ্য বিচারিক হাকিম নুসরত জাবীনের আদালতে জবানবন্দি দেয়। তাদের চারজনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় যশোর সদর হাসপাতালে।”
তদন্ত শেষে যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই হায়াত মাহমুদ খান আমিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
পিপি ইদ্রিস বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আমিনুরকে দোষী সাব্যস্ত করে এই শাস্তি দিয়েছে। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।