গাজীপুরে শেকলে বাঁধা ৩ মাদ্রাসা ছাত্রের শৈশব

‘পালিয়ে যায় বলে’ গাজীপুরের ভাইয়াসুতি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় তিন শিশুর পায়ে শেকল বেঁধে রাখা হয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2019, 12:35 PM
Updated : 6 Nov 2019, 12:35 PM

কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, পায়ে বাঁধা ভারী শেকল নিয়েই তারা চলাফেরা, খাওয়া, গোসলসহ দৈনন্দিন সব কাজ করে।

কখনোই পা থেকে শেকল খোলা হয় না বলে ওই তিন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী জানিয়েছে। তাদের সবার বয়স ১৩ বছর বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা তত্ত্বাবধায়ক মো. আরিফুল্লাহ বলেন, “তারা পালিয়ে যায় বলে তাদের অভিভাবকরাই শেকল দিয়ে পায়ে তালা দিয়েছেন। এতে আমার কিছু করার নেই।”

শিশুদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে। তারা মামা-ভাগনে। অন্যজনের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের টেক মানিকপুর গ্রামে।

মাদ্রাসার সচিব বদরুজ্জামান ভূঁইয়া রতন বলেন, “এর আগে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে মাদ্রাসায় সালিশ বসেছিল। সে সময় তাকে বলে দেওয়া হয়েছিল কোনো শিক্ষার্থীকে যেন মারধর না করা হয়। তাছাড়া শিকল খুলে দিতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক শোনেনি।”

আর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম রানু তিন ছাত্রের পায়ে শেকল বাঁধার ঘটনা জানেন না বলে দাবি করেছেন।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ৭৫ জন ছাত্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব বদরুজ্জামান।

পায়ে শেকল বাঁধা সম্পর্কে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। তবে কথা দিচ্ছি দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”