পঞ্চগড়ে কল্পনা হত্যা: স্বামী ও শাশুড়ি রিমান্ডে

পঞ্চগড়ে গৃহবধূ কল্পনা আক্তার হত্যা মামলায় শাশুড়ি ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2019, 11:50 AM
Updated : 6 Nov 2019, 11:50 AM

পঞ্চগড়ের একটি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত বুধবার এ আদেশ দেন।

এরা হলেন নিহত গৃহবধূ কল্পনা আক্তারের (২৫) শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম ময়না এবং স্বামী মনিরুজ্জামান মনির।

গত রোববার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামে বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে পুলিশ কল্পনার লাশ উদ্ধার করে।

ওইদিনই কল্পনার বাবা আব্দুল করিম একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই শাহীনুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধারের দিনই গৃহবধুর স্বামী মনিরুজ্জামান মনির, শ্বশুর আব্দুল জলিল ও শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম ময়নাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

“রাতে কল্পনার বাবা আব্দুল করিমের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।”

এসআই শাহীনুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার তিন আসামির মধ্যে স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।

“আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।”

এছাড়া মামলার অন্য আসামি কল্পনার ননদ জেসমিন আক্তার (৩২) এবং জড়িত অন্যান্য অজ্ঞাত আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

গত রোববার পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামে একটি ধান ক্ষেত থেকে গৃহবধূ কল্পনার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কল্পনা আক্তার ওই গ্রামের মনিরুজ্জামান মনিরের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের কাউয়াখাল গ্রামে। তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

লাশ পাওয়ার পর কল্পনার ভাই হযরত আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে কিছুদিন আগে কল্পনা স্বামীর বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে যান। ছয়দিন আগে দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে কল্পনাকে তার স্বামী মনির তাদের বাড়ি নিয়ে যান।

কল্পনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ভাইয়ের দাবি।