রিফাত হত্যাকাণ্ড: নথি পাঠানো হয়েছে জেলা দায়রা জজ আদালতে

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচারের জন্য মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2019, 07:43 AM
Updated : 6 Nov 2019, 07:43 AM

বুধবার সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাটিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।

এছাড়া এ মামলার জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবনের জামিন বাতিল করে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

একই দিনে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

রিফাত হত্যা মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার

মামলার ধার্য তারিখে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া এ মামলার জামিনে থাকা আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও আদালতে হাজির হন।

আদালত প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্রটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠায়। এছাড়া এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি কামরুল হাসান সাইমুনকে অনার্স পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে বাদি পক্ষের এ আইনজীবী জানান।  

নিহত রিফাত শরীফ

গত ২৬ জুন স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে একদল যুবক। পরদিন ২৭ জুন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।

তদন্ত শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে আসামি করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রের ২৪ আসামির মধ্যে আটজন বরগুনা জেলা কারাগারে এবং ১৩ জন যশোর শিশু ও কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছেন। দুজন আসামি জামিনে রয়েছেন। আর প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা পলাতক আছেন।

এর আগে দুলাল শরীফের মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছিল। কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই (দুলাল শরীফ) এ হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে এখন বাবার বাড়িতে রয়েছেন মিন্নি।