মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত সেপ্টেম্বরে উপচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে নিয়ে ফেইসবুকে লেখার পর এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করলে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদের প্রত্যাহার করা হলেও শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর ভিসির পদত্যাগের আন্দোলনের সময় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের রাফিজুল ইসলাম, নূরুদ্দিন নাহিদ, আরিফুল ইসলাম সাকিব, মো. মাজহারুল ইসলাম মিশন, রাহাত আল আহসান ও ইসমাইল শেখের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে।
“ওই বিষয়ে প্রথম তদন্ত কমিটি কোনো সুস্পষ্ট তথ্য দিতে না পারায় পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে ওই ছয় শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।”
রেজিস্ট্রার জানান, তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে এবং আগামী ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় শৃঙ্খলা বোর্ডের সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। সেইসাথে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই ছয় শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতেও নিষেধ করা হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেন। গত ৭ অক্টোবর ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহজাহান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান।