মাধবকুণ্ডে জলজ প্রাণীর মৃত্যু: পানি ও মাছের নমুনা যাচ্ছে ঢাকায়

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের মাছসহ নানা জলজ প্রাণীর মৃত্যুর কারণ জানতে পানি ও মৃত প্রাণীর নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2019, 01:03 PM
Updated : 5 Nov 2019, 01:21 PM

এদিকে, পানির দূষণ কমাতে মঙ্গলবার মাধবকুণ্ডে কয়েকদফা ওষুধ ছিঠানো হয়েছে।

গত শনিবার থেকে মাধবকুণ্ডের পানিতে মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠতে থাকে, যা রবি সোমবারও অব্যাহত থাকে। এসময় পচা গন্ধ আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

বড়লেখা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন স্পট। তাই গুরুত্ব সহকারে তারা বিষয়টি দেখছেন। ইতিমধ্যে ওষুধ ছিঠানোর পর কয়েক দফা পানি পরীক্ষা করেছেন। সেখানে কোনো বিষক্রিয়ার ‘সিম্পটম’ পাওয়া যায়নি।

এদিকে, জলপ্রপাতের পানিতে বিষক্রিয়ার খবরে ঘটনাস্থলে এসেছেন সিলেট বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুলতান আহমদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা পুরো বিষয়টি পরযবেক্ষণ করছেন। পানি ও মরা মাছের স্যাম্পল ঢাকায় পাঠাচ্ছেন।

তবে এখন আর পানিতে বিষক্রিয়া নেই বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান, জুড়ি থানার ওসি ইয়াছিনুল হক ও বন বিভাগের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন রায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান জানান, ভবিষ্যতে একরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে তাই মাধবকুণ্ড ও এর আশপাশ এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে মাছ মারা যাওয়ার প্রেক্ষিতে সোমবার ও মঙ্গলবার পানি পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে।

“আশা করছি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। পানির পিএইচ, দ্রবীভূত অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া, হার্ডনেস, টিডিএস স্বাভাবিক আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ পাহাড়ি ছড়ায় বিষলতা দেওয়ার কারণে মাছ মারা যেতে পারে।”

তিনি জানান, পানি ও মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।