প্রতিযোগিতায় ১৬টি নৌকা অংশ নেয়। এ সময় দর্শনার্থীরা আনন্দ উল্লাস করে নেচে-গেয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন। তারা উৎসাহ যোগান প্রতিযোগিদের।
এছাড়া বাইচ উপলক্ষ্যে এদিন মধুমতি নদীর এলাংখালি ঘাট থেকে শেখ হাসিনা ব্রিজ এলাকায় নদীর দুই পাড়ের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গ্রামীণ মেলা বসে।
দোকানে দোকানে ছিল বিভিন্ন বাহারি পণ্যের পসরা। মেলার ঘুরে উল্লাসে মেতে উঠে সব বয়সী দর্শক।
নদীর পাড়ে জায়গা না পেয়ে অনেকে নদীর উপরে শেখ হাসিনা সেতুতে দাঁড়িয়ে প্রতিযোগিতা দেখেন; অনেক আবার ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নৌকা বাইচ উপভোগ করেন।
আর দ্বিতীয় হয়েছে নড়াইলের ‘কাসেম মোল্যার’ নৌকা ও আলফাডাঙ্গার কালু ফকিরের নৌকা।
পরে মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
চেয়ারম্যান আবু আব্দুল্লাহেল বলেন, “এক সময় নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ ছিল মানুষের কাছে অন্যতম উৎসব, যা বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে।”