ওই যুবককে আসামি করে চিলমারী মডেল থানায় সোমবার একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
নিহত মো. শাকিল (১০) চিলমারীর পুটিমারী কাজলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদের ছেলে। সে স্থানীয় আলহাজ্ব মরহুম রজব উদ্দিন নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গ্রেপ্তার রেজাউল ইসলাম (৩৮) মাদ্রাসা এলাকার মৃত ছামসুল হকের ছেলে।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘাতক রেজাউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।
রেজাউল একজন চিহ্নিত মাদকাসেবী বলে জানান ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শী রাফিয়াল (৩৮), যোবায়ের (১৮) ও হাফিজ উদ্দিন (৫৫) জানান, সকালে শাকিল মাদ্রাসায় গিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় রেজাউল ইসলাম সেখানে উঁকিঝুঁকি মারলে শাকিল তাকে ভিতরে আসতে নিষেধ করে।
রাফিয়াল বলেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউল শাকিলকে ধরে মাদ্রাসার পাশে একটি চাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে শাকিলের দুপা ধরে শূন্যে ঘোরাতে থাকে। এরপর তাকে চাতালে শুইয়ে ইটের উপর মাথা রেখে ইট দিয়ে নির্দয়ভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে শিশুটি রক্তাক্ত যখম হয়।
“গুরুতর আহত শাকিলকে প্রথমে চিলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।”
চিলমারী মডেল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় লাশ রংপুর থেকে চিলমারী থানায় এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।