এএফএম নূরুল ইসলাম (৫২) ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন (৪১) এর বিরুদ্ধে বাদী হয়ে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের তথ্য গোপন করায় রোববার পৃথক দুইটি মামলা করেন বলে জানান দুদকের বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৪ জুলাই অর্থপাচারের দায়ে এদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ওই দম্পতির কারাগারে আটক থাকার কথা উল্লেখ করে আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদকের মামলায় তদন্তু কর্মকর্তা নিয়োগের পর অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের খোলা ‘ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো’ মধ্যে রয়েছে-এসবি সাইন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজ, বগুড়া টিএইচবিপি কলেজ, শহীদ মোনায়েম হোসেন বিএড কলেজ, চারুকলা ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, নুরুল ইসলাম আকলিমা প্যারা মেডিকেল কলেজ, সিএসইসি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, একাডেমি এন্ড প্রফেশনাল ইন্সিটিটিউট ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল বলে জানান তিনি।
দুদকের মামলা দু’টিতে এএফএম নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে সাত কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাত কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮২ লাখ চার হাজার ৪৬৮ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
“প্রতারণার ওই অর্থ তিনি তার স্ত্রী আকলিমার ব্যাংকেও জমা করেন।”
এই দুদক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার পর তাদেরকে নিজ নিজ সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য গত ২৫ জুন পৃথকভাবে চিঠি দেওয়া হয়। তারা দু’জন সেই চিঠি গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক থাকার কারণে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন।
“অবশ্য তারপর তারা কেউই আর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন নি।”