একইসঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বলেন, রোববার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌরভকে বহিষ্কার ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ে ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে কামাল হোসেন সৌরভকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। সেইসঙ্গে পলিটেকনিক শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালাক (পিআইডবিøউ) এসএম ফেরদৌস আলমকে।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালাক (কারিকুলাম) মো. নুরুল ইসলাম কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী মহিলা পলিকেনিটক ইনিস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুককে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
রোববার এ কমিটি গঠনের পর বিকালে কমিটির তিন সদস্য রাজশাহী পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন।
এ সময় তদন্ত দল ক্যাম্পাসে একটি ভবন থেকে নানা দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্টরা জানান, পুকুরের পশ্চিম পাশের ভবনের ১১১৯ নম্বর কক্ষে এ টর্চার সেল থেকে লোহার রড, পাত ও পাইপ পাওয়া যায়। পরে সেগুলো পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, রোববার সকালে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বিকালে তারা দুইজন ঢাকা থেকে বিমানে রাজশাহী আসেন। আর কমিটির অপর সদস্য রাজশাহীতে ছিলেন। রাজশাহী পৌঁছেই তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তারা তদন্ত করে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, যে কক্ষে দেশি অস্ত্র পাওয়া গেছে সেটি জোর করে নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা ব্যবহার করত। সেখানে বসে তারা বিভিন্ন সময় আড্ডা বা মিটিং করত।
“তবে শুনেছি তারা ওই কক্ষটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করত। তবে এ নিয়ে কেউ কোনোদিন তার কাছে অভিযোগ দেয়নি। ছাত্রলীগের ছেলেদের বিরুদ্ধে শিক্ষক বা ছাত্র সবাই অভিযোগ দিতে ভয় পায়।”