মোরেলগঞ্জ উপজেলার মহিষপুরা বাজার থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার রণি পাইক (১৯) বাগেরহাট সদরের বেমরতা ইউনিয়নের জয়গাছী গ্রামের হাবিবুর রহমান পাইকের ছেলে।
মেয়েটির পরিবার জানায়, গত ৮ অক্টোবর হঠাৎ মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
এরপর ১২ অক্টোবর কিশোরীর মা বাদী হয়ে প্রতিবেশী রণি পাইকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। তখন রণি পাইক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, গত ৩০ অগাস্ট দুপুরে তার বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে পাশের গ্রামে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। প্রতিবেশী রণি এই সুযোগে তাদের বাড়ি গিয়ে ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
“ওইদিন বিকালে আমি বাড়ি ফিরলে মেয়ে আমাকে ইশারায় বিষয়টি জানালে প্রথমে আমি তা বুঝতে পারেনি। কিন্তু গত ৮ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।”
তিনি বলেন, হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানার পর জিজ্ঞেস করলে সে ইশারায় রণির কথা জানায়।
“রণি বেশ কিছুদিন আমার ছোট ছেলের গৃহশিক্ষক ছিল। রণির পরিবার মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘটনাটি আপোষ করার চেষ্টা করেছে।”
রোববার বিকালে র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের মামলা হওয়ার পর থেকে রণি পাইক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। কয়েকদিন ধরে তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে ইউসুফ জানান।