অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলার ঘটনায় রাজশাহী পলিটেকনিকে বিক্ষোভ

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।  

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2019, 07:14 AM
Updated : 3 Nov 2019, 07:35 AM

রোববার বেলা ১১টা থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এক ঘণ্টা এ বিক্ষোভ করেন তারা।

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ এবং এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়াতায় আনাসহ ছয়দফা জানান বিক্ষোভকারীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে শিক্ষকরাও মানববন্ধনে অংশ নেন। 

শনিবার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। 

ঘটনার বর্নণায় ফরিদ উদ্দিন বলেন, “সৌরভ পথ আগলে দাঁড়িয়ে বলে, ‘স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের ধারের দিকে আসেন।’ আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে চ্যাংদোলা করে ধরে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুইজনের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল।”

পুকুরের ওই জায়গায় ১২-১৪ ফুট পানি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি সাঁতার জানি বলে বেঁচে গেছি। সাঁতার কেটে পাড়ে চলে এসেছি। সাঁতার না জানলে হয়ত আজই শেষ হয়ে যেতাম।”

তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসে আমার কাছে। সেসব দাবি না মানায় তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তাদের দাবিগুলো মানার মত থাকে না।”

ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুই ছাত্রের ফরম পূরণ না করায় এবং বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেদের ‘অন্যায় দাবি’ না মানায় তারা এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন অধ্যক্ষ।

পরে রাতেই ফরীদ উদ্দিন বাদী হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে সিসিটিভির ফুটেজ ও অধ্যক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বিভিন্ন ছাত্রবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পলিটেকনিকের ২৫ ছাত্রকে আটক করে থানায় নেয়। 

ওসি শেখ গোলাম মোস্তফা জানান, আটকদের মধ্যে পাঁচজনকে অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।