শুক্রবার বিকেলে খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে ‘রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ’ ব্যানারে জনসভার মধ্য দিয়ে তারা এ আন্দোলন শুরু করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ শ্রমিক লীগ খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে পাটকল শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশন ঘোষণা করে সরকার। এরপরে চার বছর কেটে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রতিবারই আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থেকে শ্রমিকদের বিরত রাখা হয়েছে।
“সর্বশেষ এ বছরের ২ এপ্রিল আন্দোলনে নেমেছিল শ্রমিকরা। লাগাতার ১৬ দিনের আন্দোলনে ১৬ কোটি টাকার পাটপণ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। ১৬ দিন পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও বিজেএমসির চেয়ারম্যানের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে শ্রমিকরা। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও বাস্তবায়িত হয়নি মজুরি কমিশন। এ কারণে এখন পাটমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করছি আমরা।”
শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবি জানান তিনি।
বিজেএমসির খুলনার সমন্বয়ক মো. বনিজ উদ্দিন মিয়া বলেন, শ্রমিকদের মজুরি ও বকেয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপতক্ষকে জানানো হয়েছে। মিলে আর্থিক সংকটের কারণে পাটক্রয় কেনা যাচ্ছে না। মজুরিও বকেয়া পড়ছে। নয়টি পাটকলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার উৎপাদিত পাটপণ্য মজুদ রয়েছে। এসব পণ্য সময়মত বিক্রি করতে না পেরে আর্থিক সংকটে পড়েছে পাটকলগুলো।