গৃহকর্মীকে ধর্ষণে গৃহকর্তার ছেলের যাবজ্জীবন

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহকর্তার ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নীলফামারীর একটি আদালত।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2019, 01:12 PM
Updated : 31 Oct 2019, 01:12 PM

ঘটনার ১৩ বছর পর বৃহস্পতিবার নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. আহসান তারেক এই রায় দেন।

দণ্ডিত আবু ছায়েম (বর্তমান বয়স ৩৩) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভবনচুর গ্রামের সাহাবুদ্দীনের ছেলে।

যাবজ্জীবন ছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, যা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভবনচুর গ্রামের সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত একই গ্রামের একটি মেয়ে। ওই মেয়েকে প্রায় সময় বিয়ের প্রলোভন দিতেন গৃহকর্তার ছেলে আবু ছায়েম।

অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৬ সালের ৪ মার্চ ছায়েমদের বাড়িতে কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় গৃহকর্মী মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পেছনের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে আবু ছায়েম।

এ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় ছায়েম। এরপর বিয়ের প্রলোভনে আরও এক মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সালিশে মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার কথা হয়; কিন্তু এরপর ছায়েম পালিয়ে যায়।

ওই সময় ছায়েমের বয়স ছিল ২০ বছর এবং মেয়েটির বয়স ছিল ১৫ বছর।

মামলায় আরও বলা হয়, এরপর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ২০০৬ সালের ২৯ নভেম্বর আবু ছায়েমকে আসামি করে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আসগার আলী।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামি আবু ছায়েম পলাতক রয়েছে।