‘উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবারের ৪ সদস্য’ বকুলকে হত্যা করেন

ময়মনসিংহে ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় মিলেছে; যাকে উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবারের চার সদস্য মিলে হত্যা করেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2019, 02:51 PM
Updated : 30 Oct 2019, 05:49 PM

জেলার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুর থেকে সন্দেহভাজন চারজনকে আটকের পর তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

গত ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজের পাশে একটি লাল ট্রলিব্যাগ থেকে এক তরুণের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দুই দিন পর কুড়িগ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় হাত, পা ও মাথা।

পুলিশ সুপার বলেন, ২৮ বছর বয়সী বকুল নেত্রকোনা জেলার হুগলা বাজারের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুড়িগ্রামের মো. ফারুক মিয়া (২৫), তার ভাই মো. হৃদয় মিয়া (২০), বোন মোসাম্মৎ সাবিনা আক্তার ও ফারুকের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২২)।

মৌসুমী নেত্রকোনা জেলার হুগলা বাজারের বাবুল মিয়ার মেয়ে। নিহত বকুল মিয়ায় বাড়িও ওই এলাকায়।

পুলিশ সুপার আটককৃতদের বরাতে বলেন, “সাবিনাকে উত্ত্যক্ত করতেন বকুল। পরিবার এতে অতিষ্ঠ হয়ে সাবিনাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। তার পরও বকুল তার পিছু ছাড়েননি। সাবিনার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাকে আবারও উত্ত্যক্ত শুরু করেন। তার হাত থেকে রেহাই পেতে একপর্যায়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাবিনা, তার দুই ভাই ফারুক, হৃদয় ও ফারুকের স্ত্রী মৌসুমী।

“সাবিনা প্রেমের ভান করে গত ১৯ অক্টোবর বকুলকে ডেকে নেন গাজীপুরের জয়দেবপুরে ভাইয়ের বাসায়। ভাই ফারুক ও হৃদয় সেখানে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সেখানে তাকে ছুরি দিয়ে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করা হয়। হাত, পা ও মাথা ব্যাগে করে মৌসুমী নিয়ে যান কুড়িগ্রামে। তার সঙ্গে যান সাবিনাও। আর বাকি অংশ ট্রলিব্যাগে করে ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজের পাশে ফেলেন ফারুক ও হৃদয়।”

হতাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, “সাবিনাকে বকুল উত্ত্যক্ত করতেন বলে এলাকায় অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাছাড়া পুলিশ আরও তদন্ত করছে।”