বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন বলে জানান আদালতের সরকারি কৌঁসুলী অনুপ কুমার নন্দী।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামরুল ইসলাম (৩৭) মিরপুর উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মুন্তাজ আলীর ছেলে এবং এবং পলাতক আসামি কামাল হোসেন (৪০) কোরবার আলীর ছেলে।
এ মামলার অপর তিন আসামি কোরবান আলী, আকলিমা খাতুন ও রূপালী খাতুনকে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় ‘বেকসুর খালাস’ দিয়েছে আদালত বলে জানান অনুপ নন্দী।
আদালত থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় আসামি কামাল হোসেনের স্ত্রী রূপালী খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে আসামি কামরুল কৃষক মিরাজকে বাড়ি থেকে ডেকে আনেন।
এ সময় ‘আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিরাজকে পেটায় এবং কোপায়।
পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত মিরাজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এই ঘটনায় পরদিন নিহত মিরাজের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদি হয়ে পাঁচজন আসামির নামোল্লেখ করে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৮ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
এ মামলায় কামরুল ও কামালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাথে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সাজা খাটার আদেশ দিয়েছে আদালত বলে জানান আইনজীবী অনুপ।