এক সপ্তাহ আগে অফিসের সিসি ক্যামেরায় ধরা ওই ঘটনার ভিডিওটি ফাঁস হয়ে যায়।
গত ৮ অগাস্টের ১৭ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনকে তার কক্ষে এক নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে দেখা গেছে।
পরবর্তীতে মঙ্গলবার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার কথা স্বীকার করে জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “শয়তানের প্ররোচনায় আমি ভুল করেছি।”
এ ঘটনায় এই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই নারীকর্মী বলেন, “জয়নাল সাহেব আমার ঊর্ধ্বতন অফিসার। চাকরির ভয় দেখিয়ে তিনি আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ করেছেন। চাকরির ভয়ে আমি চুপ ছিলাম।”
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন, তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৫-৬ দিন আগে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের দুজনকেই অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে জয়নালকে বন্দর উপজেলা থেকে বদলি করা হয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার ওই নারী চাইলে ফৌজদারি মামলা করতে পারেন।
গত অগাস্টে জামালপুরের জেলা প্রশাসক কবীর আহমেদের সঙ্গে তার কার্যালয়ের এক নারী সহকর্মীর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে তোলপাড় হয়ে যায়। ওই ঘটনায় কবীর আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।