মঙ্গলবার বান্দরবান শহরের উজানী পাড়ায় বোমাং সার্কেল কার্যালয়ে ‘বোমাং সার্কেল হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশন’ এক সংবাদ সম্মেলনে এ শঙ্কার কথা জানায়।
গত ২২ অক্টোবর রাঙামাটির রাজস্থলীর ঘিলাছড়ি মৌজার হেডম্যান ও বিএনপি নেতা দীপময় তালুকদারকে অপহরণ করে একদল অস্ত্রধারী। পরদিন সকালে ওই এলাকায় তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
বোমাং সার্কেল হেডম্যান অ্যাসোসিয়শেনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবার সদরের সুয়ালক মৌজার হেডম্যান মংথোয়াইচিং মারমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বোমাং সার্কেল প্রধান রাজা উচপ্রু চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “দীপময় তালুকদার হত্যার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে কে বা কারা জড়িত তা কেউ জানে না। কিন্তু তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে।”
সার্কেল চিফ রাজা উচপ্রু চৌধুরী আরও বলেন, “হেডম্যানদের সাহায্য পাওয়ার কিছু নেই। সবাই নিজে নিজেকে রক্ষা করে চলছেন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। হেডম্যানের উপর আক্রমণের ঘটনায় পরিষ্কার যে এখন আর কেউ নিরপদ নন। সবাই শঙ্কিত।”
রাজা উচপ্রু জানান, বান্দরবান বোমাং সার্কেল ১০৯টি মৌজায় একজন করে হেডম্যান ও হাজারের উপর কারবারী (গ্রাম প্রধান) রয়েছেন। এর মধ্যে রাজস্থলী ও কাপ্তাই রাঙামাটি জেলাধীন হলেও দুই উপজেলার ১৪টি মৌজা বান্দরবান বোমাং সার্কেলে অন্তর্ভুক্ত।
সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধরাণ সম্পাদক ও আলেক্ষ্যং মৌজার হেডম্যান সাশৈপ্রু বলেন, সার্কেলে কোনো মৌজার হেডম্যানের উপর এর আগে এমন হামলা হয়নি। অপরাধী যে-ই হোক তাকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও আলীকদমের চাম্বি মৌজার হেডম্যান টিমংপ্রু মারমা।
বিভিন্ন মৌজার হেডম্যানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রুমার লাললিয়ান বম সাইলুক, থানচির হ্লা ফ সু মারমা, আলীকদমের মংক্যনু মারমা ও বালাঘাটার মৌজার সাচপ্রু মারমা মংনু।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় তিনটি সার্কেল রয়েছে। এগুলো হলো রাঙামাটির চাকমা সার্কেল, খাগড়াছড়ির মং সার্কেল এবং বান্দরবানের বোমাং সার্কেল। এই সার্কেলগুলোর প্রধানের অফিসিয়াল নাম সার্কেল প্রধান হলেও স্থানীয়রা তাদের রাজা বলে থাকে।