সোমবার দুপুরে রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ জয়ন্তী রানী সাহার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন খাবার সরবরাহের ঠিকাদার মো. সুমন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক, দরপত্র কমিটির সদস্য, সরকার ও ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী একেএম আনোয়ার হোসেন বলেন, দরপত্র আহ্বানের পর প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার বাদী মো. সুমন অন্যদের সঙ্গে দরপত্র জমা দেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর সবার সামনে দরপত্র বাক্স খোলা হয়। তাতে দেখা যায়, রোগীদের জন্য মুরগির মাংস সরবরাহে অন্যরা যে দর উল্লেখ করেছেন, এর চেয়ে কম দর দিয়েছেন সুমন।
“তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। পরে শফিকুল নামে অন্য এক ঠিকাদারকে কাজটি দিয়ে দেওয়া।”
সুমন কেজি প্রতি ২১৩ টাকা দর দিলেও ২১৪ টাকা দরদাতা শফিকুলকে কাজটি দেওয়া হয় বলে আনোয়ার জানান।
আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ঠিকাদারির কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও বেশি দরে অন্যকে প্রায় ৮০ লাখ টাকার কাজটি দেওয়ায় বাদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া সরকারও লোকসানের মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের কোনো প্রতিনিধি এই দরপত্র প্রক্রিয়ায় থাকতে পারেন না। কিন্তু নিয়ম ভেঙে সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের একজন প্রকৌশলীকে রাখা হয়েছে এই দরপত্র কমিটিতে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, “আমরা এখনও আদালতের কাগজপত্র পাইনি। পেলে বাদী কী অভিযোগ করেছেন সেটি দেখা যাবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে।”