গোপালপুর ঘাটমালিকের প্রতিনিধি মো. আলী মৃধা অভিযোগ করেন, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘাটে এসে কয়েকজন লোক নিজেদের মৎস্য অফিসের লোক, পুলিশ ও সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। তারা জেলেদের কাছ থেকে প্রায় দেড় মণ ইলিশ ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যান।
জেলার চরভদ্রাসন থানার ওসি হারুণ অর রশীদ বলেন, “আসামি ধরার জন্য স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মায় গিয়েছিলেন এক এসআই ও তিন কনস্টেবল। কিন্তু মৎস্য অফিসের লোকের পাল্লায় পড়ে তারা নিজেদের দায়িত্ব ভুলে মাছ চুরিতে সহায়তা করেছেন।”
এ জন্য ওই থানার এসআই মিজানুর রহমান ও তিন কনস্টেবল কুতুবউদ্দিন, ফরহাদ হোসেন ও সেলিম মিয়াকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্যদের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশ তদন্ত করে পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানান।
তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, “উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের সহকারী শামীম আরেফিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সাংবাদিকদের সম্পর্কে চরভদ্রসন প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মেজবাউদ্দিন বলেন, “লিয়াকত আলী লাবলু ও উজ্জ্বল হোসেন নামে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”