সোমবার কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ১১ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া মোহাম্মদ ওরফে খোকন জেলার কটিয়াদী উপজেলার করগাও ইউনিয়নের পাচলীপাড়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে। তাকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন ফাঁসির মৃত্যুদণ্ডিত খোকনের বাবা তৈয়বুর রহমান, দুই ভাই সম্রাট ও রোমান, আশ্রাব আলী, মজিবুর রহমান ও আরব আলী।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত সবাই পাচলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাচলি গ্রামের তৈয়বুর রহমান একই এলাকার মতিউর রহমানের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে মতিউর রহমানের বিরোধ বাধে।
২০১১ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় পাচলীপাড়া এলাকায় আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মতিউর রহমানকে গুরুতর আহত করে। পরে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন নিহতের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ অক্টোবর ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আবু সাঈদ ইমাম জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি আবু সাঈদ ইমাম ও আসামিপক্ষে ছিলেন অশোক সরকার।