রোববার বিকালে জেলা শহরের মালতিনগরের জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে এই কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।
আটক আনিছুর রহমান বগুড়ার সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাছি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
বগুড়া জেলা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর আনসার ভিডিপির একটি সভা ছিল। সেখানে অস্থায়ী সদস্য ১২ জন অনুপস্থিত ছিলেন, যাদের পরে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়।
“শোকজ থেকে অব্যহতি পেতে তারা আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের বাঁচাতে আনিছুর রহমান তাদের প্রত্যেকের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করেন। পরে ২০ হাজার টাকায় সমঝোতা হয়।” মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি দুদককে জানানো হলে দুদক তদন্ত করে এবং এর সত্যতা পায়। সেই সূত্র ধরে রোববার যখন ভুক্তভোগী সাকিল আল মামুনসহ কয়েকজন ঘুষের টাকা দিতে আসেন সেই সময় দুদক আনিছুরকে ৪৫ হাজার ২৫০ টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে আনিছুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করবে দুদক।
দুদক কার্যালয়ে আটক অবস্থায় আনিছুর রহমান বলেন, “ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।”