জাবি ভিসির অপসারণে আন্দোলনের মঞ্চ নির্মাণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে এবার লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2019, 03:15 PM
Updated : 27 Oct 2019, 03:15 PM

রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপার্চায অপসারণ মঞ্চ’ নামে একটি নতুন মঞ্চ বানিয়ে লাগাতার এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা র্পযন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধের ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি।

উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, নিবন্ধকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা কেউই কার্যালয়ে যাননি।

কর্মসূচি শেষে বিকাল ৫টায় পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, “আমাদের এ আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বিশেষকে অপসারণের আন্দোলন নয়। এটি একটি দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার আন্দোলন। এই যৌক্তিক আন্দোলন রুখে দিতে প্রশাসন নানা ফন্দি আঁটছে। আমরা সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে উপাচার্যকে অপসারণের মাধ্যমে আন্দোলন সফল করব।”

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন ও জামাল ‍উদ্দীন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি নজির আামিন চৌধুরী জয় প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সর্বাত্মক ধর্মঘট এবং মঙ্গলবার থেকে উপাচার্য অপসারণের আগ পর্যন্ত টানা অবরোধ করবেন তারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় একনেক। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য এ বছরের ১ মে ৬টি হলের দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। কাজের শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে।

এরপর ছাত্রলীগকে ‘ঈদ সেলামির’ নামে দুই কোটি টাকা চাঁদা দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তিন দফা দাবিতে গত ২৩ অগাস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

কয়েকদিন আন্দোলন চলার পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই আলোচনায় আন্দোলনকারীদের দুটি দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের দাবি না মানায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে নামেন আন্দোলকারীরা।