কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া আদালত তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার কুমারখালী উপজেলার দমদমা গ্রামের মিরাজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ইয়ার আলী (৪৮), সুরুজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৩) ও বাগুলাট গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে থাকলেও রেজাউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া মোসাম্মৎ কাজল রেখা নামে এ মামলার আরেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছে।
ওই আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী মামলার নথির বরাতে জানান, ২০১২ সালের ৩ মার্চ বিদ্যুৎ মিস্ত্রি আলম শেখকে পূর্বশত্রুতার জেরে শ্বাস রোধ করে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরদিন সকালে কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট গ্রামের একটি মেহগনি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আলমের স্ত্রী সবুরা খাতুন চারজনের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল সবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পিপি অনুপ কুমার বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দিয়েছে। পলাতক আসামির সাজা আটকের দিন থেকে কার্যকর হবে।