ঠাকুরগাঁওয়ে দুই আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে অস্ত্রধারীরা।  

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2019, 05:52 PM
Updated : 23 Oct 2019, 05:52 PM

বুধবার সন্ধ্যায় আখানগর ইউনিয়নের শুকানিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায়।

আহতরা হলেন ধনিপাড়া গ্রামের প্রয়াত আমজাদ আলীর ছেলে আখানগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম (৩৬) এবং ধনিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রুহিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক বাশারুল ইসলাম সোহেল (২৮)।

তাদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক রুমি আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আহত সোহেলের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে জখম করা হয়েছে; তার মাথায় চারটি সেলাই করা হয়েছে এবং খাদেমুলের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা খাদেমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ও আমার চাচাতো ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে আখানগর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথে শুকানিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে আখানগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী ও তার লোকজন আমাদের পথরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় তারা লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের দুইজনকে বেধরক পেটায়। এক পর্যায়ে সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তারা। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।”

এ সময় তারা খাদেমুলের মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে বলেও তিনি জানান।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাশারুল ইসলাম সোহেল বলেন, কিছুদিন পর আখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। কাউন্সিলকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। এই হামলা তারই একটি অংশ।

রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ইউসুফ আলীর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।