জাহাঙ্গীরনগরের সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে জড়িয়ে ফেইসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ‘অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে সাবেক এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

জাহাঙ্গীরনগর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2019, 08:51 AM
Updated : 23 Oct 2019, 09:40 AM

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক তসলিম উদ্দিন জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী সাদ শরীফকে আসামি করে বুধাবার দুপুরে এ মামলা করা হয়।

মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।       

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকা থেকে সাদ শরীফ ও আরেক সাবেক শিক্ষার্থীকে ‘শিবির সন্দেহে’ আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আটক আরেকজন হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূরুল আমিন।

পরিদর্শক তসলিম বলেন, “সাদ শরীফের ফেইসবুক মেসেঞ্জারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো ও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এতে নূরুলের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তার বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”

সাদ শরীফের মেসেঞ্জারে কি ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তা বলতে রাজি হননি এ পুলিশ কর্মকর্তা।      

নূরুল আমিন

এদিকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে আটকের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল টিম তাদের আটক করেছে।

সাদ শরীফ শিবির করার কথা স্বীকার করেছেন বলেও প্রক্টর দাবি করেন। 

অন্যদিকে সাদ ও নূরুল সাংবাদিকদের বলেন, তারা শিবির করেন না বা কোনো সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত নন। তারা ‘এমনি’ ক্যাম্পাসে এসেছিলেন।

তাদের দাবি, উপচার্যের অপসারণের দাবির একটি মিছিলের সময় তারা চৌরাঙ্গী এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক গিয়ে তাদের আটক করে।

আটকরা শিবিরের সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে পরিদর্শক তসলিম উদ্দিন বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে তারা শিবির করে না বলে জানা গেছে, তবে সাদ শরীফ অন্য কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।”