বুধবার দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় র্যাব পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের পৌঁছে দিয়েছে।
শুভর ভগ্নিপতি বিধান মজুমদার (৩৫) ও তার দোকানের কর্মচারী সাগর (১৮) নিখোঁজ রয়েছেন বলে জেলার দুলারহাট থানায় মঙ্গলবার দুপুরে জিডি করেন বিধানের বাবা বিনয় ভূষণ মজুমদার।
শুভর ফেইসবুক আইডি ‘হ্যাক করে অবমাননাকর’ বক্তব্য ছড়ানোর পর ‘মুসলিম তাওহিদী জনতা’র ব্যানারে রোববার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শহরে সমাবেশ ডাকা হয়। সেখান থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় কয়েকশ মানুষ। দফায় দফায় সংঘর্ষে এক মাদ্রাসাছাত্রসহ চারজন নিহত হন; আহত হন ১০ পুলিশসহ শতাধিক।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ফেইসবুক আইডি হ্যাকের জন্য জিডি করতে গিয়ে হেফাজতে থাকা শুভকেও গেপ্তার দেখানো হয় রোববারের সংঘর্ষের পর ধর্মভিত্তিক কয়েকটি সংগঠন মিলে গঠিত মুসলিম ঐক্য পরিষদের দাবির মুখে।
দুলারহাট থানার রৌদের হাটে ‘মা জুয়েলার্স’ নামে বিধানের একটি দোকান রয়েছে। বিধান ও সাগর লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ গ্রামের বাড়ি থেকে সোমবার সকালে সেই দোকানে যান। তারপর তারা নিখোঁজ হন।
ওসি মিজানুর বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় র্যাব বিধান মজুমদার ও তার দোকানের কর্মচারী সাগরকে বিধানের বাবা বিনয় ভুষণ মজুমদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
বিধান মজুমদারের বাবা বুধবার বিকালের মধ্যে থানায় এসে তার ছেলে ও তার কর্মচারীকে কীভাবে পেয়েছেন তা বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে ওসি জানান।
তাদের নিখোঁজের ব্যাপারে সোমবার ভোলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অবিনাশ নন্দী বলেছিলেন, সোমবার বিকেলে মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন লোক বিধানের দোকানে গিয়ে একটি বেসরকারি টিভিতে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। তারা তার কর্মচারী সাগরকেও নিয়ে যায়।
তবে ওই বাজারের কয়েকজন দোকানির বরাতে বিধানের বাবা বিনয় ভূষণ বলেছিলেন, বিধান ও সাগরকে সিভিল পোশাকধারী সাত-আটজন লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে কালো একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে ওই বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর বরাতে স্থানীয় আবুবকরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন জমাদার জানিয়েছিলেন, ‘র্যাব ও ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন লোক বিধানকে গাড়িতে তোলেন।’
“এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী বিধানকে কী কারণে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হচ্ছে।”
তবে তাদের আটকের বিষয়ে কিছু জানে না বলে স্থানীয় পুলিশ ভাষ্য দেয়।