ওসি চোরাচালানিদের রক্ষার চেষ্টা করছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার রিয়াজ আহমেদ জানান, মঙ্গলবার আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছে।
চুনারুঘাট উপজেলার গুচাপাড়া গ্রামের দুলাল আহমেদ দুলনের স্ত্রী নবীউন নাহার মৌসুমী সোমবার মামলাটি দায়ের করেন।
দুলন উপজেলার আমরোড বাজারের মেসার্স আল হাসান অ্যান্ড দিহান ট্রেডার্সের মালিক ও আমরোড বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
ওসি নাজমুল ছাড়া মামলায় অন্য আসামিরা হলেন চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী আশরাফ, এসআই শহিদুল ইসলাম এবং এসআই বাতেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর রাত দেড়টায় ওসি নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাড়ি গিয়ে দুলনকে আটক করে এবং তার মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে দুলনকে পুলিশ নির্যাতন করে। একপর্যায়ে আহত অবস্থায় তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চা-পাতা ও টায়ারসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ মালপত্র চুনারুঘাটে প্রবেশ করে। এ সময় দুলনসহ এলাকাবাসী বিষয়টি বিজিবিকে অবগত করে। পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল আটক করে।
এ কারণে পুলিশ দুলনকে আটক করে নির্যাতনের পর গরু চুরির মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় বলে বাদীর অভিযোগ।
বাদী নবীউন নাহার মৌসুমী বলেন, “আমার স্বামীকে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আটক করে নির্যাতন করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”