বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর ভোলার কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন যে ছয় দফা দাবি তুলেছে, তার মধ্যে পুলিশ সুপার কায়সারের অপসারণের দাবিও রয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল আমাদের এসপি সাহেবের ব্যক্তিগত ফেইসবুক হ্যাকড হয়েছে। এ ব্যাপারে আজ সকালে থানায় জিডি হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ নামের এক যুবক শুক্রবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি তার ফেইসবুক আইডি হ্যাকারের কবলে পড়ার কথা জানান।
শুভর মেসেঞ্জারে ‘নবীকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য’ ছড়িয়ে সেই ‘স্ক্রিনশট’ ব্যবহার করে গত শুক্রবার থেকে বোরহানউদ্দিনে উত্তেজেনা সৃষ্টি করা হয়।
উপজেলা সদরে দুই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন, আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক। সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের দিকে গুলিও ছোড়া হয়; তাতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
সংঘর্ষে যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজনের মাথা ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে থেঁতলানো ছিল বলে চিকিৎসকের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।
ওই ঘটনার পর থেকে ‘মুসলিম ঐক্য পরিষদ’ নামে স্থানীয় কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের একটি জোট পুলিশ সুপারের অপসারণসহ ছয় দফা দাবি জানাচ্ছে। দাবি মানতে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।
এদিকে, যার ফেইসবুক হ্যাক হওয়ার পর মেসেঞ্জারে কথিত কটূক্তির স্ক্রিনশট ছড়িয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংসতা ঘটানো হয়েছে, সেই শুভসহ তিনজনকে সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বোরহানউদ্দিন থানায় উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গত রোববার ওই মামলা দায়ের করেন।
আর সংঘর্ষের ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় আলাদা মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের ওপর হামলা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে সেখানে।