পঞ্চগড়ে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের কাছে ফিরলেন মা

অবশেষে পঞ্চগড় শহরে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটির মাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2019, 04:46 AM
Updated : 22 Oct 2019, 05:04 AM

শহরের কামাতপাড়া মহল্লার অশোকচন্দ্র মোদকের বাড়ির সামনে থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে তারা উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয়।

এক মাস বয়সী শিশুটিকে ফেলে যাওয়ার খবরের প্রসঙ্গ টেনে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, প্রথমে শিশুটির বয়স এক মাস ধারণা করা হলেও শিশুটির বয়স মাত্র ১৬ দিন বলে নবজাতকের মা রিমু আক্তার জানিয়েছেন।

‘তার স্বামীর সাথে টানাপোড়েনের জেরে’ এবং ‘দত্তক দিতে ব্যর্থ হওয়ায়’ রিমু সন্তানকে ফেলে যান জানান জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন।

“তিনি এখন তার সন্তানকে ফিরে পেতে চান।”

কয়েকদিন রিমুর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে এবং চিকিৎসকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড়ের আইবুল ইসলামের মেয়ে রিমু। তার নানা বাড়ির এলাকা কামাতপাড়া মহল্লায় নবজাতকটিকে ফেলে গিয়েছিলেন তিনি।

রিমুই নবজাতক মেয়েটির মা তা যে নানাভাবে তারা নিশ্চিত হয়েছেন বলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আশ্বস্ত করেন।

রিমুকে খুঁজে পাওয়ার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এলাকার পেয়ারা মজুমদারসহ আরও কয়েকজনের কাছে শিশুটিকে ‘দত্তক দিতে ব্যর্থ হয়ে’ এই শিশুটিকে ফেলে যান রিমু। সে সময় তার সঙ্গে ‘সাড়ে চার বছর বয়সী আরেক ছেলে সন্তান ছিল।’

ছেলেকে নিয়ে ওই রাতে ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে অবস্থানকালে ‘কাঁদতে দেখে আটোয়ারী উপজেলার মালিগাঁওয়ের আব্দুল খালেক ও আলেমা খাতুন দম্পতি’ রিমুকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আশ্রয় দেন। সেখানে গিয়েও নবজাতক সন্তানের জন্য কাঁন্নাকাটি করতে থাকেন।

“ওই দম্পতি বিষয়টি পুলিশকে জানালে আমরা সোমবার ওই নারীকে উদ্ধার করি।”

সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনসহ তারা হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে রিমুর কাছে তুলে দেন।

রিমু ‘অসংলগ্ন কথাবার্তা’ বলার কারণে ‘তাদের আপাতত হাসপাতালেই রাখা হয়েছে।’

নবজাতককে দেখভালের দায়িত্ব রিমুর মা শিল্পী আক্তার ও বাবা আইবুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  

নবজাতকটি সুস্থ্ আছে জানিয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মঈন খন্দকার বলেন, “এতদিন ধরে অন্য মায়েরাই শিশুটির যত্ন নিয়েছে ও খাবার দিয়েছে।

“এখন তার মা-ই এসব দায়িত্ব পালন করবেন।”