একই সময়ে এক দালালকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার দুপুর থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শহরের পুরাতন কোর্ট চত্বরের এই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দুদক এই দুজনকে আটক করে। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম ইসতিয়াক আহম্মেদ ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করে দালাল মিঠু মিয়াকে ঘুষ গ্রহণের দায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া, বিআরটিএ অফিসের কর্মচারী মো. মজিবর রহমানকে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের (বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা) উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বিআরটিএ এর বাগেরহাট কার্যালয়ের নানা অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে খবর পেয়ে দুদক সেখানে অভিযান চালায়।
“এ সময় দালাল মিঠু মিয়া ও বিআরটিএ কার্যালয়ের একটি প্রকল্পের সিল মেকানিক মো. মজিবর রহমানকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে গাড়ির কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়।”
পরে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা ‘ঘুষের দশ হাজার টাকা’ তাদের কাছে দুদক ফেরৎ দিয়েছে বলে তিনি জানান।
উপপরিচালক নাজমুল জানান, অভিযানের পর বাগেরহাট বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে ‘দালালের প্রবেশ নিষিদ্ধ’ লেখা একটি ব্যানার টাঙানোর নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘুষ বন্ধে বিএরটিএ কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসানকে সতর্ক করা হয়েছে।
বাগেরহাট কার্যালয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ, পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে চার মাসেও ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পায়নি।
জাহিদুর রহমান নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, বাগেরহাট বিএরটিএ কার্যালয়ে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এই কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসানের যোগসাজসে স্থানীয় দালাল মিঠু সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নিবন্ধনের কাগজপত্র করে দিতে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা ঘুষ আদায় করেন।
বিআরটিএ এর বাগেরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “বিআরটিএ কার্যালয়ের একটি প্রকল্পের অস্থায়ী সিল মেকানিক মো. মজিবর রহমানের কাছে সাধারণ গ্রহকদের কাছ থেকে আদায় করা ১০ হাজার টাকা পেয়েছে দুদক। তাই তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
দালাল মিঠু বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।