রোববার সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাদিক হাসান। তার অভিযোগ বাংলা বিভাগের মাসুম শিকদারের বিরুদ্ধে। উভয়ের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় এবং তারা ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী।
সাদিককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাইমন হাসান জাহিদ বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরিফ তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সাদিক। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে গেলে আরিফ আলাদা হয়ে পড়েন। সেই সময়েই মাসুম শিকদার তাকে র্যাগ দিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই সাদিক সেখানে গেলে তাকে চাবির রিং দিয়ে আঘাত করেন মাসুম।
সাদিক হাসান বলেন, “আরিফকে র্যাগ কেন র্যাগ দেওয়া হচ্ছে আর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়া উচিত নয় এবং কদিন আগে উপাচার্য বলেছেন ‘র্যাগিং দিলেই ছাত্রত্ব বাতিল হবে’- এমন বলতেই মাসুম আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। হাতে চাবির রিং দিয়ে আঘাতের একপর্যায়ে চোখের কোণে ফেটে যায়।”
এ ঘটনায় রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন সাদিক।
মাসুম শিকদার বলেন, “সাদিক আমার খুব কাছের বন্ধু। আমরা মজা করি সবসময়। ওর সঙ্গে কিল-ঘুষি এমন নিত্যদিনই চলে। তবে আজকে একটু বেশিই হয়ে গেছে। ওর চোখের কোণে কেটে গেছে। আমার ভুল হয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, “আমি রাতে সাদিককে দেখতে গিয়েছিলাম। পরে সে আমাকে একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”