পিরোজপুরে ৩ মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর, আটক ১

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে একই দিনে তিনটি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2019, 09:46 AM
Updated : 20 Oct 2019, 09:52 AM

রোববার ভোরে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া এলাকায় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দির, কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ও শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

আটক কামরুল ইসলাম সুজন (৩০) জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার রাজাবাড়ি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

মন্দিরে হামলার অভিযোগে স্থানীয়রাই সুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বলে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমাদ মাইনুল হাসান জানান।

স্থানীয় গৃহবধূ গৌরী মল্লিক জানান, ভোরে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের দরজার তালা খুলে রেখে পূজা দেওয়ার জন্য ফুল তুলতে যান তিনি। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে এক লোককে মন্দির থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন। পরে মন্দিরে ঢুকে সব প্রতিমা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পান।

তিনি বলেন, “এরপর লোকজন ডাকতে ডাকতে ওই লোককে আর পাওয়া যায়নি। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারি একই গ্রামের আরেকটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুরের সময় লোকজন একজনকে আটক করেছে। পরে আমি সেখানে গিয়ে তাকে চিনতে পারি। আমি তাকেই মন্দির থেকে বের হতে দেখেছি।”

একই গ্রামের উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, সকালে তার কাকিমা সবিতা মল্লিকের চিৎকার শুনে তিনি কয়েকজন

কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে যান। সেখানে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করার সময় কামরুল ইসলাম সুজনকে হাতেনাতে আটক করা হয।

নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (এসআই) অনুপ কুমার মণ্ডল বলেন, ভোর পৌনে ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে একই এলাকার তিনটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেন কামরুল।

“স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করে বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল প্রতিমা ভাংচুরের কথা স্বীকার করেছে।“

নাজিরপুর থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।