কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধের দুই ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন, যারা ‘মাদক চোরাকারবারি’ বলে বিজিবি ও পুলিশের ভাষ্য।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2019, 05:12 AM
Updated : 20 Oct 2019, 05:12 AM

এর মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এক মাদকের আসামি রোববার ভোর রাতে সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়া পাড়ায় অভিযানের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

কাছাকাছি সময়ে নাফ নদীর হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মদীনা জোড়া এলাকায় র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হন আরেকজন। 

মহেশখালিয়া পাড়ায় নিহত মোহাম্মদ আজিজ (২৪) টেকনাফের সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার ছালেহ আহম্মদের ছেলে। মাদক ও অস্ত্র আইনের ‘একাধিক মামলায়’ তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন বলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে ডেইল পাড়া থেকে আজিজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি দল। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ‘ইয়াবা ও অস্ত্রের মজুদের’ তথ্য দেন। পরে সেই অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে তাকে নিয়ে মহেশখালিয়া পাড়া নৌঘাটে অভিযানে যায় পুলিশ।

“পুলিশ সেখানে পৌঁছালে আজিজের সহযোগী মাদক কারবারিরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামার পর সেখানে আজিজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”

গুলিবিদ্ধ আজিজকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, পুলিশের তিন সদস্যও এ অভিযানে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশি বন্দুক, সাতটি গুলি ও তিন হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

নাফ নদীর তীরে বিজিবির অভিযনে নিহত মো. রহিম উদ্দিন ওরফে রফিক (৩৭) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মধ্যকাঞ্জরপাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল কি না- সে তথ্য জানাতে পারেননি বিজিবি কর্মকর্তারা।

বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার ‘বড় একটি চালান’ আসার খবরে বিজিবির একটি দল ভোরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মদীনা জোড়া এলাকায় নাফ নদীর তীরে অবস্থান নেয়।

“সেখানে এক ব্যক্তিকে নদীর তীরে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের দিক থেকে ২/৩ জন লোকসহ একটি নৌকা নদীর কিনারে এলে ওই ব্যক্তি এগিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা তাদের থামার নির্দেশ দিলে তারা গুলি ছুড়তে শুরু করে।

“বিজিবি সদস্যরাও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামলে ঘটনাস্থলে রফিককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিককে মৃত ঘোষণা করেন বলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল জানান।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ৬০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশি বন্দুক, তিনটি গুলি ও দুটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। বিজিবির দুই সদস্যও এ অভিযানে আহত হন।