জেলার তেঁতুলিয়া থানার এসআই শাহাদাত হোসেন জানান, আটক চালককে মামলার পর বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস (২৫) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মাইদারচালা এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে।
নিহত সোহেল রানা মামুন (৩৫) পঞ্চগড় শহরের কায়েতপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন।
এসআই শাহাদাত মামলার এজাহারের বরাতে বলেন, বুধবার সকালে মামুন ট্রাক নিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাথর লোড করতে যাচ্ছিলেন। সিপাইপাড়া এলাকায় ওভারটেক করা নিয়ে ট্রাক থেকে নেমে মামুন, কুদ্দুস ও সাগর নামে এক ব্যক্তি বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
“একপর্যায়ে কুদ্দুসের সঙ্গে মামুনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাদের থামান। পরে মামুন রাস্তা পার হয়ে নিজ ট্রাকে ওঠার সময় কুদ্দুস তার ট্রাকটি মামুনের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেন। ট্রাকের চাকায় মামুনের শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। স্থানীয়রা তাকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে এসআই শাহাদাত বলেন, “ট্রাকচাপা দিয়ে মামুনকে হত্যার কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন কুদ্দুস। ওভারটেক করা নিয়ে কথাকাটাকাটির রেশ ধরে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।”
ঘটনা তদন্ত ও সাক্ষ্যে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে তিনি জানান। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। বুধবার রাতেই তার বড় ভাই রমজান আলী কুদ্দুস ও সাগরকে আসামি করে মামলা করেছেন।
রমজান বলেন, “ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আমি ট্রাক নিয়ে স্থলবন্দরে যাই। কিছুক্ষণ পরই ফোনে জানতে পারি ওভারটেক করা নিয়ে আক্রোশের জেরে আমার ছোট ভাইয়ের ওপর ট্রাক চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছে করেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।”