ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় বিএসএফের এক সদস্য নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার ফরিদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা জানাব।”
চারঘাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে এখন নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ অবস্থায় জেলেরা যেন নদীতে ইলিশ শিকার করতে না পারে সে জন্য বিজিবি সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নদীতে অভিযানে যান তিনি।
“আমরা দেখতে পাই, পদ্মা-বড়ালের মোহনায় বাংলাদেশের সীমানার ভেতর একটি নৌকায় করে তিনজন ভারতীয় জেলে ইলিশ শিকার করছে। তাদের আটকের চেষ্টা করা হলে দুইজন পালিয়ে যায়। একজনকে আটক করা সম্ভব হয়।
“খবর পেয়ে বিএসএফ সদস্যরা এসেই গুলি ছোড়া শুরু করে। জবাবে বিজিবিও তখন গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটে।”
আরিফুল ইসলাম বলেন, গোলাগুলির পর আটক ভারতীয় জেলেকে বিজিবির চারঘাট করিডোর সীমান্ত ফাঁড়িতে আনা হয়। তার কাছ থেকে ইলিশ শিকারের জালও জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিজিবির রাজশাহীর-১ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আসিফ বুলবুল বিকাল ৩টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতীয় একজন জেলে তাদের কাছে আটক রয়েছে। বিকাল ৪টায় বিজিবি-বিএফএফ কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারপর বিস্তারিত বলা যাবে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে চারঘাট থানার ওসি সমিত কুমার বলেন, “বিএসএফের একজন জওয়ান মারা গেছে বলে পতাকা বৈঠক পিছিয়ে দিয়েছে বিএসএফ।”
এদিকে বিএসএফের বিবৃতির বরাত দিয়ে এনডিটিভি লিখেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে ওই ঘটনায় বিএসএফের হেড কনস্টেবল বিজয় ভান সিং নিহত হয়েছেন। আরও একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি লিখেছে, ওই ঘটনার পর বিএসএফ প্রধান ভিকে জহরি ফোনে বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন।
বিজিবি প্রধান এ বিষয়ে তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।