বুধবার ধামইরহাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এ অভিযান চালানো হয় বলে দুদক জানিয়েছে।
আটকরা হলেন অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম ও নৈশ্য প্রহরী এনামুল হক।
দুদকের রাজশাহী উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিভিন্ন সময় ধামইরহাট উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম দূর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে এলাকাবাসী দূর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইন ১০৬-এ ফোন করে জানায়।
“অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকালে রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আল-আমিনসহ সঙ্গীয় দুদক টিম ধামইরহাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালায়।”
তিনি বলেন, এ সময় ঘুষ ও অনিয়মের ২৮ হাজার ৮৮৫ টাকা গণনাকালে চকযদু গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রেজাউল ইসলাম ও নৈশ প্রহরী চকপ্রসাদ গ্রামের নিয়াজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল হককে আটক করা হয়।
“উপস্থিত জনতা ও সাংবাদিকদের সামনে ঘুষের টাকার ভাগ সাব-রেজিস্ট্রার তাহাজ্জোদ আলী নেন বলে অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম স্বীকার করেছেন।”
দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, বুধবার ধামইরহাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২১টি দলিল সম্পাদন হয় এবং তার সরকারি ফি হয় ৯ হাজার ৪৮৫ টাকা; কিন্তু সেখানে সরকারি ফি বাদে অতিরিক্ত ২৮ হাজার ৮৮৫ টাকা পাওয়া যায়, যা অফিস সহকারী ও নৈশ্য প্রহরী অনিয়ম করে এসব টাকা গ্রহণ করেছেন বলে স্বীকার করেন।
“সাব-রেজিস্ট্রারকেও আমরা নজরদারিতে রেখেছি, তদন্তে জড়িত পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”